ভিজিএ কানেক্টরের সফলতার পরে ১৯৯৯ সালে ডিভিআই (DVI) কানেক্টর উন্মুক্ত করা হয়, যার পূর্ণনাম “ডিজিটাল ভিজুয়াল ইন্টারফেস“। নাম জেনেই নিশ্চয় বুঝে গেছেন এটি অ্যানালগ নয় বরং ডিজিটাল ফরম্যাটে কাজ করে। আর যেহেতু এটি ডিজিটালে কাজ করে তাই কম্পিউটারের ভিডিও অ্যাডাপ্টারে অ্যানালগ সিগন্যাল কনভার্ট করার প্রয়োজন পড়ে না—এটি সরাসরি ডিজিটাল সিগন্যাল মনিটরে নিয়ে যায়। আজকের সব এলসিডি মনিটর ডিজিটাল ফরম্যাটে কাজ করে—যদিও অনেক মনিটর ভিজিএ ক্যাবল থেকে অ্যানালগ সিগন্যাল গ্রহন করে, কিন্তু মনিটর সেই সিগন্যালকে আবার ডিজিটালে রূপান্তরিত করে। ডিভিআই কানেক্টর ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর কাজ করার কারণে এটি নিঃসন্দেহে অ্যানালগ প্রযুক্তি থেকে অনেক বেশি ভালো কোয়ালিটির পিকচার উৎপন্ন করতে পারে। তবে অ্যানালগ পিকচার কোয়ালিটি বর্তমানে আরো উন্নতিকরন করা হয়েছে। ডিভিআই কানেক্টরের তিনটি ভার্সন রয়েছে;
ডিভিআই-এ (DVI-A) —শুধু অ্যানালগ সমর্থন করে।
ডিভিআই-ডি (DVI-D) —শুধু ডিজিটাল সমর্থন করে।
ডিভিআই-আই (DVI-A) —একই কানেক্টরে অ্যানালগ এবং ডিজিটাল উভয়ই সমর্থন করে।
ডিভিআই-এ এবং ডিভিআই-আই উভয়তেই ভিজিএ কানেক্টর সমর্থন করে, কেনোনা দুইটিতেই অ্যানালগ সিস্টেম রয়েছে। ডিভিআই-আই তে আবার দুই প্রকারের কানেক্টর রয়েছে, ডুয়াল লিঙ্ক এবং সিঙ্গেল লিঙ্ক। আজকের বেশিরভাগ কানেক্টরে ডুয়াল লিঙ্ক দেখা যায়। ডুয়াল লিঙ্ক সাধারনত সিঙ্গেল লিঙ্ক থেকে দ্বিগুণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। ডিভিআই-আই সিঙ্গেল লিঙ্ক; ৬০ হার্জ রিফ্রেস রেটে ১৯২০x১২০০ রেজুলেসন সমর্থন করে এবং ডুয়াল লিঙ্কে ৬০ হার্জ রিফ্রেস রেটে ২৫৬০x১৬০০ রেজুলেসন সমর্থন করে। তাছাড়া ডুয়াল লিঙ্ক ৪কে ও সমর্থন করে কিন্তু ৩০ হার্জ রিফ্রেস রেটে। তাছাড়া ডিভিআই শুধু ভিডিও ট্র্যান্সমিট করতে পারে অডিও নয় এবং এটি আরজিবি (RGB) কালার সমর্থন করে।